
পলাশ বড়ুয়া ॥
কক্সবাজারের উখিয়ায় মাটিচাপা পড়ে এক যুবক নিহত হয়েছে। নিহত আজিজুর রহমান (২৮) উত্তর পাতাবাড়ি এলাকার মৃত মো: ইসলাম মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে শোক বিরাজ করলেও পাহাড়খেকোরা ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। প্রভাবশালীদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের খেওয়াছড়ি এলাকায় অবৈধ ডাম্পার দিয়ে সুউচ্চ পাহাড় কাটার সময় মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে।
হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম বলেন, ডাম্পার চালক ও নিহত যুবক পরষ্পর ভাই। দুই ভাই এক সাথে পাহাড়ে মাটি কাটতে গিয়ে এক ভাই নিহত হয়েছে বলে জেনেছি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বনবিট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে হলদিয়াপালং ইউনিয়নে অবৈধ ডাম্পার দিয়ে পাহাড় কাটার সময় আজিজ নিহত হয়। মাটি চাপায় নিহত আজিজের ঘরে অন্তস্বত্তা স্ত্রী ছাড়া আর কেউ নেই।
এই স্থানে ৫/৬ মাস আগেও সাহাব মিয়ার ছেলের গাড়ীতে করে মাটি কাটার সময় আরেক এক শ্রমিক নিহত হয়।
এদিকে পাহাড় খেকোরা বনবিট কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে এসব পাহাড় ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
নামে প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ৫নং ওয়ার্ডের মোকতার মিয়ার ছেলে মকছুদুল করিম চৌধুরীর ২টি ডাম্পার দিয়ে মাটি কাটছিল। সে অনেক বেশি প্রভাবশালী। স্থানীয় হতদরিদ্র শ্রমিকদের জিম্মি করে সে রাত-দিন মাটি কাটে। কেউ অবাধ্য হলে তাদের মারধর ও লাঞ্চিত করা হয়।
জানতে চাইলে অবৈধ ডাম্পারের মালিকানার কথা স্বীকার করে মকছুদুল করিম চৌধুরী বলেন, ড্রাইভার ও শ্রমিকদের মাটি কাটার বিষয়টি আমি জানিনা। তবুও দূর্ঘটনায় নিহত আজিজের পরিবারকে এককালীন নগদ অর্থ প্রদান করা হবে।
এ ব্যাপারে উখিয়া সহকারী বন সংরক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলটি রাজারকুল রেঞ্জের আওতাধীন।
রাজারকুলের রেঞ্জ অফিসার নাজমুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাটি চাপায় এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনা সম্পর্কে তিনি জানেন না। বিট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে পাহাড় কাটার বিষয় বিষয়টি সত্য নয় বলে তিনি দাবী করেন।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহাম্মদ সঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, এক ব্যক্তি মাটি চাপা পড়ে নিহতের খবর শুনেছি। তবে বিস্তারিত জানিনা। অভিযোগ পেলে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত